জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করতে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লায় এসে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার কাছে আটক হয়েছে ইয়াছির (১৯) নামে এক রোহিঙ্গা যুবক। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়ে আঙ্গুলে ছাপ দিতে গেলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়।
পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের বলিবাজার এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে। ইয়াছির মিয়ানমার থেকে ২০ দিন আগে কক্সবাজার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-৯ আসে।
বেলায়াত হোসেন নামে কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার পশ্চিম ঘোড়াশাল ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জাকির হোসেন ও হাসিনা বেগমের ছেলে হিসেবে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে পাসপোর্ট করতে আসেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ হলে তাদের নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হয়। তবে তারা তা সঠিকভাবে বলতে পারেননি। পরে তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হয় তারা রোহিঙ্গা।
এ বিষয়ে রোহিঙ্গা ইয়াছিরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০ দিন আগে মিয়ানমার বলিবাজার নামক স্থান থেকে সে কক্সবাজার বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসে। মিয়ানমারে বলিবাজারে থাকা তার চাচাতো ভাই ওসমান কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন মদিনা ট্রাভেলসের হাসান মাহমুদ ও মোশাররফ নামে ২ দালালের কাছে পাসপোর্ট করে দিবে বলে কন্টাক্ট করে।
রোহিঙ্গা ইয়াছিরের সব কাগজপত্র হাসান মাহমুদ ও মোশাররফ তৈরি করে দেয়। পরে পাসপোর্ট অফিসে আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি তুলতে এসে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তার কাছে আটক হয় ইয়াছির।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া জানান, এক রোহিঙ্গা যুবক সৌদি আরবে যাওয়ার উদ্দেশে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসে ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করতে চেয়েছিলেন।
এ সময় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তারা কীভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেছেন এ বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page